Friday, May 25, 2018

‘বোলিংয়ে সেরা দলের বিরুদ্ধে রান তাড়া করার সিদ্ধান্তই বুমেরাং হল’

SHARE


রশিদময় ইডেন!
ক্রিকেটে একা ম্যাচ জেতানো যায় বলে কখনও বিশ্বাস করিনি। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি তো আরওই দলগত খেলা। কিন্তু আফগানিস্তানের এক জাদুকর একাই একশো হয়ে হারিয়ে দিয়ে গেলেন কেকেআর-কে।
পাশাপাশি, আমি খুব অবাক হলাম টস জিতে কেকেআরের ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্তে। মানছি চলতি আইপিএলে অনেক দল রান তাড়া করে জিতেছে। কেকেআরেরও পরে ব্যাট করে সাফল্যের হার বেশ ভাল। তা বলে এটা মাথায় রাখব না যে, শুক্রবারের প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বোলিং আক্রমণ আইপিএলের দলগুলির মধ্যে সেরা! ভুবনেশ্বর কুমার, সিদ্ধার্থ কল, রশিদ খান, শাকিব-আল-হাসানরা প্রত্যেক দলকে সমস্যায় ফেলেছে। কার্যত সেমিফাইনালের মতো চাপের ম্যাচে ভুবিদের বিরুদ্ধে নিরাপদে প্রথম ব্যাট করে নিলেই মনে হয় ভাল হত। 
ম্যাচটায় প্রধান পার্থক্য হয়ে দাঁড়াল শেষের দিকে ব্যাট করতে এসে রশিদের ১০ বলে ৩৪। ইনিংসে দু'টো চার, চারটে ছক্কা। বিশেষ করে শেষ ওভারে রশিদ স্কোয়্যার লেগ দিয়ে যে, ছক্কাটি মারলেন, সেটা যেন সদ্য অবসর নেওয়া এ বি ডিভিলিয়ার্সকে মনে করাল। আমি অবশ্যই এ বি-র মতো কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের সঙ্গে রশিদের ব্যাটিংয়ের তুলনা করছি না। বলতে চাইছি, শুধু ওই শটটায় যেন এ বি-র ছাপ।
এর পরে বল করতে এসে চার ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নিলেন রশিদ। এখানেও শেষ হয়নি। বাউন্ডারিতে দাঁড়িয়ে দু'টো গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচও ধরলেন রশিদ। একটা দলগত খেলায় এক জন খেলোয়াড়ের এতটা আধিপত্য কি আর কখনও দেখা গিয়েছে?
কেকেআর যখন ব্যাট করছিল, অবাকই হয়ে যাচ্ছিলাম যে, স্পিনার কেন নিয়ে আসছেন না সানরাইজার্সের অধিনায়ক? কেন উইলিয়ামসন সপ্তম ওভারে আনলেন রশিদকে। আর তার পর থেকে ম্যাচটাই কেমন ঘুরে যেতে থাকল। উইলিয়ামসনের অধিনায়কত্ব মুগ্ধ করল এ দিনও।
আন্দ্রে রাসেলের মতো পাওয়ারহিটারকে ঘিরে দিলেন শর্ট লেগ ও স্লিপ দিয়ে। রাসেল  স্লিপে খোঁচা দিয়ে আউট হয়ে গেলেন। ওখানেই কেকেআর বড়সড় ঝটকা খেয়ে গেল। শুভমন গিলকে এ দিনও দেরিতে নামানোর মূল্য চোকাতে হল নাইটদের। অবশ্যই তিন বা চার নম্বরে নামানো উচিত ছিল ওকে।

SHARE

Author: verified_user

0 comments: