Tuesday, May 22, 2018

বিশ্বকাপ ১৯৬২ ‘ব্যাটল অব স্যান্টিয়াগো’ আর ব্রাজিলের দ্বিতীয় শিরোপা

SHARE
সপ্তম বিশ্বকাপের আসরে দ্বিতীয়বারের মত শিরোপা জিতল ব্রাজিল। ট্রফি হাতে ব্রাজিল দলনায়ক মাউরো রামোস।

দুয়ারে কড়া নাড়ছে ক্রীড়াবিশ্বের অন্যতম বড় আসর ফুটবল বিশ্বকাপ। আর মাত্র ২৩ দিন পরেই পুরো বিশ্ব মেতে উঠতে যাচ্ছে ফুটবলের উন্মাদনায়, যার আঁচটা পাওয়া যাচ্ছে এখন থেকেই। ফুটবল বিশ্বকাপ সামনে রেখে এনটিভি অনলাইনও নিয়ে এসেছে বিশেষ আয়োজন। আজ পাঠকদের সামনে হাজির করা হচ্ছে সপ্তম বিশ্বকাপের গল্প। ১৯৬২ সালে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের পঞ্চম আসরের অনেক অজানা কথা নিয়ে থাকছে আজকের প্রতিবেদন :
ফুটবল মাঠ আক্ষরিক অর্থে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে অনেকবার। কিন্তু সত্যিকারের যুদ্ধটাই বোধহয় বেঁধেছিল চিলিতে অনুষ্ঠিত ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক দল আর ইতালির গ্রুপপর্বের ম্যাচের দিন। স্যান্টিয়াগো শহরের মাঠে গড়ানো সেই কুখ্যাত ম্যাচ 'ব্যাটল অব স্যান্টিয়াগো'কে ছাপিয়ে ইতিহাসের সপ্তম আর নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতে নেয় ব্রাজিল।
ইউরোপে গড়িয়েছিল পঞ্চম ও ষষ্ঠ বিশ্বকাপ। তাই দক্ষিণ আমেরিকার চাওয়া ছিল সপ্তম আসর আয়োজিত হবে তাদের মহাদেশেই, অন্যথায় ১৯৩৮ সালের মত কোন দলই যাবেনা বিশ্বকাপে লড়তে। আর্জেন্টিনার একটা সম্ভাবনা ছিল বটে তবে শেষমেশ ভেন্যু হিসেবে বেছে নেয়া হয় চিলিকেই।দেশটির চারটি শহরের চার মাঠে ১৯ দিনে গড়ায় বিশ্বসেরা হওয়ার ৩২ ম্যাচের লড়াই।  
মাত্র আগের বছরই দেশটিতে হয়েছিল ৯.৫ মাত্রার ভূমিকম্প। তবে সেটা অন্তরায় হতে পারেনি চিলির মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজনের। বাছাইপর্ব শেষে ১৬ দল পায় মূল পর্বের টিকিট। স্বাগতিক চিলি আর আগেরবার চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল বিশ্বকাপ খেলে সরাসরি। আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে, মেক্সিকো, বুলগেরিয়া, চেকোস্লোভাকিয়া, ইংল্যান্ড, হাঙ্গেরি, ইতালি, সোভিয়েত ইউনিয়ন, স্পেইন, সুইজারল্যান্ড, পশ্চিম জার্মানি ও যুগোস্লাভিয়া ছিল সে বিশ্বকাপের বাকি ১২ দল।
চার গ্রুপে দলগুলোকে ভাগ করে গ্রুপ পর্ব দিয়ে ৩০ মে থেকে শুরু হয় সপ্তম বিশ্বকাপের লড়াই। সেখান থেকে  কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায় স্বাগতিক চিলি, ব্রাজিল, হাঙ্গেরি, চেকোস্লোভাকিয়া, পশ্চিম জার্মানি, যুগোস্লোভিয়া, ইংল্যান্ড ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেরা আটের লড়াই শেষে সেমিফাইনালে ওঠে স্বাগতিক চিলি, ব্রাজিল, যুগোস্লোভিয়া ও চেকোস্লোভাকিয়া।
ঘরের মাঠে চিলির ফাইনালে ওঠা হয়নি। ব্রাজিলের কাছে হেরে অবশ্য যুগোস্লোভাকিয়াকে ১-০ গোলে পরাজিত করে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সেরা দল হিসেবে দলটি শেষ করে বিশ্বকাপ। যুগোস্লোভিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ হয় চেকোস্লোভাকিয়া।
স্যান্টিয়াগোর মাঠে চেকরা পাত্তাই পায়নি আগেরবারের চ্যাম্পিয়নদের কাছে। ইতালির পর দ্বিতীয় দল হিসেবে চেকদের ৩-১ গোলের ব্যবধানে টানা দুই বিশ্বকাপ জিতে নেয় পেলের ব্রাজিল। যদিও পুরো টুর্নামেন্টেই পেলের শত্রু হয়েই ছিল ইনজুরি। সেটা অবশ্য ব্রাজিলের শিরোপা জিততে বাধা হতে পারেনি।
১৯৬২ বিশ্বকাপের বল ‘ক্র্যাক’।

চার গ্রুপে দলগুলোকে ভাগ করে গ্রুপ পর্ব দিয়ে ৩০ মে থেকে শুরু হয় সপ্তম বিশ্বকাপের লড়াই। সেখান থেকে  কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পায় স্বাগতিক চিলি, ব্রাজিল, হাঙ্গেরি, চেকোস্লোভাকিয়া, পশ্চিম জার্মানি, যুগোস্লোভিয়া, ইংল্যান্ড ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেরা আটের লড়াই শেষে সেমিফাইনালে ওঠে স্বাগতিক চিলি, ব্রাজিল, যুগোস্লোভিয়া ও চেকোস্লোভাকিয়া।
ঘরের মাঠে চিলির ফাইনালে ওঠা হয়নি। ব্রাজিলের কাছে হেরে অবশ্য যুগোস্লোভাকিয়াকে ১-০ গোলে পরাজিত করে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সেরা দল হিসেবে দলটি শেষ করে বিশ্বকাপ। যুগোস্লোভিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ হয় চেকোস্লোভাকিয়া।
স্যান্টিয়াগোর মাঠে চেকরা পাত্তাই পায়নি আগেরবারের চ্যাম্পিয়নদের কাছে। ইতালির পর দ্বিতীয় দল হিসেবে চেকদের ৩-১ গোলের ব্যবধানে টানা দুই বিশ্বকাপ জিতে নেয় পেলের ব্রাজিল। যদিও পুরো টুর্নামেন্টেই পেলের শত্রু হয়েই ছিল ইনজুরি। সেটা অবশ্য ব্রাজিলের শিরোপা জিততে বাধা হতে পারেনি।

SHARE

Author: verified_user

0 comments: